তৃণমূলের জনসভায় ফের সোচ্চার সাংসদ কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় : নিশানায় রাজ‍্যপাল ও

5th December 2020 2:43 pm বাঁকুড়া
তৃণমূলের জনসভায় ফের সোচ্চার সাংসদ কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় : নিশানায় রাজ‍্যপাল ও


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় থাকলে অনেকে বড় বড় নেতা হতে পারেন। গাছটার তলা থেকে সরে গেলে সে বুঝতে পারবে কতো বড় নেতা'। শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় দলীয় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে নাম না করে এই ভাষাতেই তাঁকে বিঁধলেন তৃণমূল নেতা ও সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পোজ মেরে পান্তাভাত খাওয়ার গল্প না বললেও চলবে। আমরা বাঁকুড়ার ছেলে পান্তাভাত খেয়ে বড় হয়েছি, কাজু বাদাম খেয়ে নয় বলেই তিনি দাবি করেন।

  এদিন স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও এক হাত নেন কল্যান ব্যানার্জী। রাজ্যের 'গুণ্ডাদের আশ্রয়দাতা' বলেও রাজ্যপালকে কাঠগোড়ায় তোলেন তৃণমূলের এই আইনজিবি সাংসদ। দু'নম্বরী শিল্পপতিদের নিয়ে রাজ্যপাল টী পার্টি করেন' বলেও এদিন তিনি অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে 'ব্যাকডোর' দিয়ে বিজেপিকে এরাজ্যে ক্ষমতায় আনতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন দাবি করে বলেন, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির চেষ্টা করা হলে কলকাতায় তার গাড়ি আটকে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারী দেন।

   বাঁকুড়ার 'বিজেপি গুণ্ডাদে'র হুঁশিয়ারী দেওয়ার পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে 'কচি খোকা' বলেও তিনি সম্বোধন করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।